আলগা গেরোর ভেতর থেকে
উঠে আসছে সবুজ
ভাঙা বাঁধে স্নানোৎসব চলেছে
বালতি উপুড় করে বৃষ্টি নামলে
চৌকির নিচে জল গচ্ছিত
আপেল গড়িয়ে নদী উঠে এসেছে দাওয়ায়
সন্ধে খানিক জিরিয়ে নিচ্ছে সেখানে
কেবল শহরের বাতিঘর থেকে
এলোমেলো কপাল খসে যাচ্ছে
ফাল্গুন ও পুঁটিমাছের ঝাল
একবার মনে করো
ফাল্গুনের কোন এক পড়ন্ত রোদমেখে চতুর্ভুজের ঘেরাটোপে
বোগেনভেলিয়া গাছে ফুল না হয়ে ফুটে থাকতো
বেনামা ভাঙা এক বাঁশঝাড়ের বনে
পারতো কি সে তোমার মনে দোলা দিতে!
যদি ইঁটে গাঁথা ছাদের নিচে
রূপকথার পরী এসে ছোট্ট সে খাটে রূপোর চামচ রেখে না দিয়ে-
দিত খেলনা চামচ বালিশের খোপে
তার খুলি চিরে রক্তচিহ্ন এঁকে দিতে পারতে!
কুয়াশামুক্ত শরীরে দামী পার্ফিউমের সুবাস
পোড়া বৈশাখ দিনে কালবৈশাখির মতো পরম তৃপ্তির বদলে
দিত জৈষ্ঠ্যের ভরদুপুরে নুনচে রক্তের ছোঁয়া ।
তোমার আলিঙ্গনে তাকে কি শেকল কি পরতে হত না!
পৃথিবী পুরুষালী ঈশ্বরের ধাঁচে গড়া
পুরোহিতের বিধানের মতো কোন এক ব্রিগেড সমাবেশে বলবে
মেয়েলি মনের সুপ্ত ঘুম নিয়ে কোন এক
লেখনীর কলমে মন গড়া কিছু শব্দগুচ্ছ।
করুণাময়, পুঁটিমাছের ঝালে
কতটা নুন ও হলুদ মিশিয়ে উদরপুষ্টি লাভ হবে
বিচার করো...
No comments:
Post a Comment