লাল বাতিটা নিভে গেলে
সাদা চুল যখন কালো হয়ে ওঠে
আরও কিছুটা দূর এগিয়ে শান্তিপাড়া
কিছু জোনাকি তখন তারা হয়ে ওঠে; জ্বলে-নেভে
বাঁধনহারা নদীটা কোথাও
মুখ উঁচিয়ে চুমু আঁকতে চায়
তৈরি হয় সেতু
আর
শরীর খেলার ডাক আসে কালো চাদরের তলে
আমরা জানি
চোখ দুটো ফর্সা হলেই---
ভেজা কাপড়ে নদীটা কেমন দুর্গন্ধময়
সাপ মনে করে নিজেকে
কিন্তু জোনাকিরা ততক্ষণে রূপ নিয়েছে ধূসর পোকার...
হটাত্ করেই নদীর বুকে তখন জোয়ার
টান লেগে যায় চাঁদের
খুলে যায় একটা একটা করে সব বন্ধ দরজা
আর যে দরজাটা খোলা ছিল বলে জোনাকির উত্পাত
তার পোশাকি শূন্যস্থানে বোতামের সন্ধি
আমরা সাক্ষী থাকি
বন্ধ দরজা দেখে মেঘের সমুদ্রে চাঁদের আত্মহত্যার...
পদবী
শীতজ্বরে কাবু আমাদের বোবা-চ্যানেল
সন্ধ্যার ঝিঁঝিঁ পোকাগুলো তাই
কাঁথা মুড়ে ঘুম
একটা ছোট্ট বালকের চোখ
রোজ সকালে হামাগুড়ি দেয় তাঁর পাঠে
আস্ত শহরটার জীবাশ্মমুখী ইতিহাস
উঠে আসে পাতায় পাতায়
ধ্বংসের কারণগুলো হেঁটে এসে তখন
মুছে দিতে ইচ্ছে হয় তাঁর...
পূর্বপুরুষের রেখে যাওয়া পদবী
No comments:
Post a Comment