কাল রাতে রবীন্দ্রনাথ এসেছিলেন
তাকে আগে কখনও বিড়ি খেতে দেখিনি
কম্পিত হাতে আমি লাইটার জ্বেলে দিলাম...
কী একটা বই ছাপবেন বলে আমার থেকে
প্রকাশনার ফোন নাম্বার চাইলেন--
কবিগুরু অথচ ফেসবুক বোঝেন না,
আমি চুপচাপ শুনতে থাকলাম তাঁর গল্প
ওঠে এলো বিনয়ের "ফিরে এসো চাকা "
সুনীলের "হঠাৎ নীরার জন্য"
আর শক্তির "যেতে পারি কিন্তু কেন যাবো "
আমি আমার একটি কবিতার কথা জিজ্ঞাসা করলাম
উনি পিছন ফিরে খুলে ফেললেন ব্যাগ
তারপর, একে একে শোনাতে থাকলেন ওনার কবিতা
আমি চিৎকার করে বলে উঠলাম
আমাকে বাঁচতে দিন
নিজের মতো লিখতে দিন
সেকি অট্টহাসিতে ফেটে পড়ল চার দেওয়াল--
ততক্ষণে আমার বিছানায় জমা হয়েছে হাজার বছরের
পুরানো কবিতার পাতা
আমি উঠে দাঁড়ালাম---
উনি বিড়বিড় করে বলতে লাগলেন
বসন্ত এসে গেছে
এর মধ্যে ট্রাম লাইনে ভিড় জমিয়েছে কিছু নাম-না-জানা কবি...
কবিগুরু
পাঞ্জাবি পরা লোকটাকে দেখে আমি কবিগুরু ভাবলাম
তাঁর পিছে পিছে পৌঁছে গেলাম বাড়ির পাঁচিল অবধি
পাঁচিলের গায়ে কতকগুলো ভাবসম্প্রসারণ ফুল
লোকটি বাড়ি ঢুকে গেল আমিও ঢুকলাম তার পিছে পিছে
একটা ঝুলবারান্দা, দেওয়ালে টাঙানো পাশাপাশি কবিগুরু কাদম্বরী
আমি একটুও ঘাবড়াইনি, খুঁজতে থাকলাম নোবেল
গণ্ডিকাটা সেই জানালার পাশে দাঁড়িয়ে আমি কবিগুরুকে চান করতে দেখলাম
আসলে সময়ের ব্যবধানে কবিগুরু মাঝে মাঝে ছদ্মবেশে কবিতা লেখে
No comments:
Post a Comment