জিরো বাউন্ডারি কবিতার দ্বিতীয় সংখ্যার জন্য লেখা জমা দেওয়ার লাস্ট ডেট নভেম্বরের ১০ তারিখ। দুটো কবিতা বা কবিতা বিষয়ক লেখা নিজের এক কপি ছবি সমেত পাঠিয়ে দিন আমাদের ইমেলে-0boundarykabita17@gmail.com

কুমারেশ তেওয়ারী




দহন

মায়াবাদের কাছেই পেতে রাখি হারমোনিয়াম
ও ফুল ও পাখি এবং উন্নত মেঘমালা
আমাকে জাহান্নম থেকে নিয়ে চলো জান্নাতের পথে

আমি বেঁচে থাকতে চাই অ্যামিবার ক্ষণপদ নিয়ে
বেঁচে থাকতে চাই হাঁসের চইচই নিয়ে

কে বলেছে কিন্নরের নাচে কোনো মুদ্রা নেই
ও সব চোখের দোষ দেখতে পায়না
হাততালি থেকে উঠে আসে কতটা অটোগ্রাফ
যা কেড়ে নিতে পারে যে কোনো চোখের সম্মোহন 
সেইসব হাততালি থেকে আমি তুলে নিতে চাই
যাপনের অনিবার্য বেদনার স্রোত

যে সমস্ত রাতের পানপাত্রে দ্রবণীয় সোহাগিনী
সেইসব রাতের কাছে আমি রেখে যেতে চাই
গোপন ডায়েরি ও তার জবানবন্দি 
যেন তেষ্টার জল শেষ পর্যন্ত এসে দাঁড়ায়
আমার ঘরের চৌকাঠে
আঁজলা ভরে সেই জল তুলে নিতে গিয়ে যেন দেখতে পাই
দৌড়তে দৌড়তে চলে যাচ্ছে আমার অস্থিরতা
আর খুব গলনাঙ্ক খেতে খেতে
ক্রমশ উজ্জ্বলতর হয়ে উঠছে মোমের দহন








মায়াবন বিহারিনী

মায়াকানন।  ঢং মেয়েটি রঙ্গ সাজায়
সান্তাক্লজ রেইনডিয়ারে চুটকি বাজায়

অতএব মালা আর কত জপবে হে হরিমোহন
রিখটার স্কেল দেখো কাঁপা মাপছে আর ছেড়ে দিচ্ছে
স্কিল নিয়ে তর্জমা রাখছে রাইকিশোরি

পাড় চেঁচিয়ে যতই বলুক শিকড় বাড়াও 
নতুন বউটি লাজুকলতা, আরেকটু খাও

দেখো কেমন কাঁপছে আর কাঁপতে কাঁপতে 
ফেটে যাচ্ছে থার্মোমিটার ছড়িয়ে পড়া পারদ
পর্ণ দেখবে বলে বালিশ সাজিয়ে টেবিলে
খুলে রাখছে জলের গ্লাস

হলি গড। এই বেলা জারণ-বিজারণ নিয়ে 
পবিত্র বাইবেল কী বলে? একটু জানা যাবে





No comments: