জিরো বাউন্ডারি কবিতার দ্বিতীয় সংখ্যার জন্য লেখা জমা দেওয়ার লাস্ট ডেট নভেম্বরের ১০ তারিখ। দুটো কবিতা বা কবিতা বিষয়ক লেখা নিজের এক কপি ছবি সমেত পাঠিয়ে দিন আমাদের ইমেলে-0boundarykabita17@gmail.com

দিশারী মুখোপাধ্যায়




ঘুম 

ভাবতে ভাবতেই ঘুমিয়ে যাই 

ষোলআনার কয়েন 
কুয়োর জলে পড়ে ডুবছে 
আলো যতটা কমছে 
ততটাই বাড়ছে অন্ধকার 
আর একটা হিমহিম ভাব 
লোকে বলে থিতিয়ে পড়া 

তারপর একটা জল-মাকড়সা 
লম্বা লম্বা পায়ে 
সেই কুয়োর উপরের তলের উপর 
চক্কর মারছে একটানা -
আত্মাটা তলিয়ে গেছে 
খোসাটুকু নিয়ে শুধু 
প্রাণবিহীন বেঁচে থাকা 

কেউ একজন খুব আলতু হাতে 
দরজায় টোকা মারে 
সেই জিরো পাওয়ারের টোকা 
বুকের পাতালে গিয়ে আচমকাই 
জালের দড়ি ধরে টান মারে 
ধীরে ধীরে উঠে আসে 
অতলের শ্বাস 
চশমাকে জুম করে দেখি 
আর ভাবি 

ভাবতে ভাবতেই ঘুম ভেঙে যায় 









রাত্রির ওমলেট 

দরজা ঠেলে রাত্রি রোজ ঘরে এসে ঢোকে 
জুঁই তার সহোদরা 
উঠোনে দাঁড়িয়ে দেখে চুপিচুপি 
ফিলামেন্ট কেটে যাওয়া 
আবর্জনার স্তুপে পড়ে থাকা বাল্বের গায়ে 
হঠাৎ জোনাকি 
মাত্র একবার 

টেবিলে ডিনারে কারা 
শব্দহীন গল্পে থাকা তুফান থামিয়ে 
ডিপফ্রিজে ঢুকে যায় 
তারপর এক থেকে তিনতলার সিঁড়ি 
আমাকে ভাঙতে থাকে 
ভয়ের মাখন-মাখা স্লাইস-জীবনে হয়তো 
স্যান্ডউইচ বানানো যেতই 
তবু কোনো 
কারণ বিহীন এক কারণের ইশারায় 
শব্দের ঘ্রাণ শোনা যায় 

রোজরোজ রাত্রে আমি 
রাত্রির ওমলেট খাই 










2 comments:

দিশারী মুখোপাধ্যায় said...

আমার কবিতা প্রকাশ করার জন্য সম্পাদককে ধন্যবাদ । ভালো লাগছে এইজন্য যে আমি শূন্য হতে পেরেছি ।
সমগ্র পরিকল্পনা খুবই উল্লেখযোগ্যতা দাবি করছে ।
আমার কবিতা উপর ছবিটি আমার নয় ,ভুলবশত অন্যকারো ছবি ।

জিরো বাউন্ডারি কবিতা said...

হ্যা দাদা, এই অযাচিত ভুলের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। ঠিক করে নিয়েছি।