নাট
পাতাখসা দিন উড়ে গেছে, অবিরাম প্রার্থনার সুর। ঘাইরাতে এসোÑ তুমি তার প্রদীপ্ত রাক্ষস।
রূপকথা শেষ হলে বেজে ওঠে বর্ণের মালা।
এই হসন্ত বেলায় কতোটা শৈশব দোল খায় ধ্বনির আড়ালে।
জন্মের প্রতিটি রেখা প্রতিদিন অরণ্যমুখি।
মৃগ ও শিকারীর মাঝে যা কিছু রচনা, মাংসের স্বাদুতায় সেও শিল্পথালা।
মৃত্যু যার ডাকনাম, চকলেটের মতো অনিবার্য রসনাবিলাস।
উপচানো শরীরে পিপাসার ছাপ, যদি রক্তকরবী বাজে।
তবু নির্জন তুমি, নাটমঞ্চে পড়ে থাকে তোমার আস্তিন।
চম্পূ
কতোবার ফিরে আসা, পঞ্চবটের বনে অশোকছায়া, কিভাবে লুকাতে চাও পাখিদের কাল।
একবার দৃশ্য খোল, ঘুঙুর নাচুক- চেনা চেনা ছলনায় তুমিও নির্জন।
আসন্ন শিকারে চকচকে বর্শাফলক।
আরশিতে ভ্রান্তি ছিল, বিম্বের পেছনে ইহআঁকা শৈশবকাল।
একটি বিমর্ষ রাত, যেতে যেতে ভোরÑ আঙুলে রোদের শব্দ;
চম্পূরেখার মতো মায়ার জগৎ।
কে যেন ডাকতে পারে, রঙ্গ শেষে একজন আজো একা,
একজন অনন্ত বিছানা।
তবু নিরাশ্রয় তুমি, বহুরূপে ঘুমাও জল্লাদ।
No comments:
Post a Comment